Ads Golpo.Best Kobita.Best

search

দ্যা ব্যাড ইভিনিং | খালিদ হাসান | পর্ব - ৪



মুল গল্পের
 নামঃ
দ্যা ব্যাড ইভিনিং | খালিদ হাসান
মুল বইয়ের
নামঃ
অজানা
মূলসূত্রঃFacebook.com

পর্ব - ১ | পর্ব - ২ | পর্ব - ৩ | পর্ব - ৪ | পর্ব - ৫ | এক পাতায় সম্পূর্ণ


ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম আমি। সেকেন্ড খালিদ এসে আমাকে খুঁজতে শুরু করলো। অন্ধকারে কোথাও খুজেঁ পেলোনা আমাকে। চারদিকে তাকিয়ে দেখলো কয়েকবার। আমি বুঝে গেলাম তাঁর মাথায় এখন কি ঘুরছে। সে এখন প্রমাণ লোপাট করবে। একটু আগে আমি যা যা করেছি এখন সেও তাই তাই করবে। তাই এখানে সময় নষ্ট করে তাঁর কর্মকান্ড দেখার মতো সময় আমার নেই। ভাবতে লাগলাম আমি কি করা যায় এখন।
.
ঠিক সেই মুহুর্তে মনে হলো ব্যপারটা। যদি টাইম ট্রাভেল করেই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। তাই আমাকে যেতে হবে স্টার্ট পয়েন্টে। অর্থাৎ যেখান থেকে এই সমস্যার শুরু সেখানে গিয়েই এর সমাধান করতে হবে। শুরুর দিকের ঘটনাগুলো পরিবর্তন করতে পারলেই ব্যপারটা পুরোটা পাল্টে দেয়া সম্ভব।
.
তখনই খেয়াল করলাম সেকেন্ড খালিদ বাইকটা খালের পানিতে ফেলে দিলো। এরপর আবারও কালভার্টের মাঝখানে যেতে লাগলো। ব্যাগ আর লিজাকে পানিতে ফেলে দিবে এবার। আমি আর দেরি না করে ভেলায় উঠে গেলাম। অন্ধকারে ভেলাটা ওইপাড়ের দিকে নিয়ে যেতে লাগলাম। আবারও টাইম মেশিনে ফিরে যেতে হবে আমাকে। একদম শুরুর সময়ে যেতে হবে।
.
পাড়ে পৌঁছে যেতেই দেখলাম ফার্স্ট খালিদের অর্ধমৃত দেহটা আমার ভেলায় আটকে গেছে। নিশ্চয়ই একটু পরে উঠে যাবে সে। কিন্ত এইসব ঘটনা নিয়ে ভাবা যাবেনা আর। ঠিক সেই মুহুর্তে দেখলাম সেকেন্ড খালিদ বাড়িটার দিকে ছুটছে। দেরি করা ঠিক হবেনা। ও নিশ্চয়ই এইবার থার্ড খালিদ অর্থাৎ আমার অবস্থানে চলে আসবে টাইম ট্রাভেল করে। তার আগেই আমাকে যেতে হবে। ফার্স্ট খালিদের অর্ধমৃত দেহটা নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে সেটাকে ফেলে রেখে বাড়িটার দিকে সেকেন্ড খালিদের পেছনে পেছনে ছুটলাম আমিও।
.
সেকেন্ড খালিদ বাড়িটার ভেতরে ঢুকতেই আমিও ঢুকে গেলাম। কিন্ত প্রফেসর ভিক্টরকে খেয়াল করেই লুকিয়ে পড়লাম মেইন দরজার আড়ালে। সেকেন্ড খালিদ প্রফেসর ভিক্টরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলো। প্রফেসর ভিক্টর সেকেন্ড খালিদের রুমাল বাঁধা চেহারা লক্ষ্য করে বলে উঠলেন ..
--হেয়, হু আর ইউ? তুমি তো দেখি বড় মাপের চোর! আমার ঘরের দরজা কিভাবে খুললে তুমি!
খেয়াল করলাম প্রফেসর গোসল করে সবেমাত্র বাথরুম থেকে বের হয়েছেন। আবারও একই দৃশ্য দেখতে হচ্ছে আমাকে। আর কি কি ঘটতে চলেছে সব বুঝে গেলাম।
.
সেকেন্ড খালিদ বলে উঠলো..
--আমি আপনার টাইম মেশিনটা ব্যবহার করতে চাচ্ছি।
তাঁর কথা শুনেই প্রফেসর ভিক্টর বলে উঠলেন ..
--হাউ ডেয়ার ইউ! একেতো চোরের মতো তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেছো আর এখন আমার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস ব্যবহার করতে চাইছো। ওয়েট ওয়েট ! হোয়াট! তুমি আমার টাইম মেশিনের ব্যপারে কি করে জানলে!
.
সেকেন্ড খালিদ রাগি কন্ঠে বলে উঠলো এবার ..
--আমার লাইফটা হেল করে দিয়ে এখন আমাকেই চোর বলা হচ্ছে!
প্রফেসর অবাক হয়ে বললেন ..
--হোয়াট ডু ইউ মিন! কে তুমি!
.
বুঝে গেলাম আমি এবার কি ঘটতে চলেছে। সেকেন্ড খালিদ সজোরে প্রফেসর ভিক্টরের নাকে ঘুষি মেরে তাকে বেডরুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো। এটাই আমার সুযোগ। মেইন দরজাটা লাগিয়ে দিলাম ভেতর থেকে যাতে আর কোনো অতীত বা ভবিষ্যতের খালিদ ভেতরে আসতে না পারে। সেকেন্ড খালিদ বেডরুম থেকে বের হওয়ার আগেই ছুটতে লাগলাম টাইম মেশিনের দিকে। সুইচ টিপে দরজাটা খুলেই ভেতরে ঢুকে গেলাম। ঘাড় ঘুরিয়ে দরজা দিয়ে তাকাতেই দেখলাম সেকেন্ড খালিদ লিফটের দিকে তেড়ে আসছে। খপ করে দরজাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে মনে হলো সে আমাকে দেখে ফেলেছে। কিন্ত মুখ তো আমারও রুমাল দিয়ে বাঁধা।
.
লেডি ভয়েসটা টাইম সেট করতে বলতেই আমি আজকের বিকাল ৫ টা সেট করে দিলাম সময়টা। "start" বাটনে ক্লিক করতেই লিফটা কাঁপাকাঁপি করে থেমে গেলো। লিফটের দরজা খুলে যেতেই বুঝলাম এখন সময়টা বিকাল। বের হলাম সেখান থেকে। বেডরুমের দিকে যেতেই দেখলাম প্রফেসর ভিক্টর সেটা ভেতর থেকে বন্ধ করে রেখেছে। কান পাতলাম বেড রুমের দরজায়। ভেতরে নাক ডাকার আওয়াজ আসছে। মনে হলো লোকটা ঘুমাচ্ছে এই সময়ে।
.
ঘড়িতে আরো একবার সময়টা দেখে নিলাম। ঘন্টার কাঁটা ৫ টা থেকে সরে যাচ্ছে। দ্রুত বাড়ি থেকে বের হলাম মেইন দরজা খুলে। দৌড়াতে লাগলাম কালভার্ট এর দিকে । খালিদ এবং লিজা নিশ্চয়ই এসে যাবে এখন। কালভার্ট অতিক্রম করে একটা বড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম আমি। ঠিক তখনই খালিদ তার বাইকটা থামিয়ে দিলো। পেছনে বসে আছে লিজা।
.
শুরু হয়ে গেলো তাদের কথোপকথন..
--কি হলো! থামালে কেন? নাকি পেট্রোল শেষ? এজন্যই লোকে বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়!
ফার্স্ট খালিদ রাগত স্বরে জবাব দিলো..
--তোমার কি মনে হয়না তুমি একটু বেশি বেশি ভয় পাচ্ছো! আর পেট্রোল ভরপুর আছে। তুমি খামোখা ভয় করোনাতো।
--ভয় পাবোনা তো কি? আমি কখনোই আমার পরিবারের সাথে এমন দুঃসাহস দেখাইনি।
--তো আমি দেখিয়েছিলাম বুঝি?
--মাঝপথে থামলে কেন তাহলে? নাকি ডিসিশন বদলাবে?
--না।তার দরকার নেই। জায়গাটার দিকে তাকিয়ে দেখেছো একবার?
.
আমার মনে হলো তখন আমাদের ডিসিশন টা বদলে নেয়াই ভালো ছিলো। সময়ের এই প্যাঁচের ভেতরে আবদ্ধ হওয়া লাগতো না তাহলে। গাছের আড়ালে লুকিয়ে আমি তাঁদের অনুসরণ করতে লাগলাম। কি করে তাদের থামানো যায়। তাদের এখানে থাকাটা উচিৎ হবেনা। একটু পরেই অন্ধকার ঘনিয়ে এলে খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। সে সম্পর্কে তারা অবগত নয়। তাদের এখানে থাকাটা মোটেই উচিৎ নয়। ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি আর ভাবছি এখন কি করবো আমি। কি করে থামাবো টাইম ট্রাভেলের ঘটনাগুলোকে। আবারও সেটাই ঘটতে চলেছে যা পূর্বে ঘটেছিলো। যে করেই হোক ঘটনাগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
.
ভাবতে ভাবতে অনেক সময় পেরিয়ে গেলো। সময়টা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। প্রতিটা সেকেন্ড অনেক মূল্যবান। কিন্ত কিভাবে অতীত বা ভবিষ্যতের ঘটনাগুলো পরিবর্তন করে দেয়া যায় সে সম্পর্কে আমি অবগত নই। আদৌ কি অতীত বা ভবিষ্যতের ঘটনা পরিবর্তন করা সম্ভব! আমি জানিনা, তবে এটুকু নিশ্চিত যা ঘটবার তা ঘটবেই। কিন্ত আমার দায়িত্ব হচ্ছে লিজাকে বাঁচানো। লিজাকে আমার জন্য কিছুতেই খুন হতে দেয়া যায়না। আমার ভুলের কারণেই লিজা খুন হয়েছে। আর তাঁকে যেভাবেই হোক আমার বাঁচানো উচিৎ।
কথাগুলো ভাবতে ভবতেই চোখ চলে গেলো কালভার্টের মাঝখানে। লিজা এবং খালিদ সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। আচমকা খালিদ লিজার হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে খালের পানিতে ছুড়ে ফেললো। শুনতে পেলাম তাদের কথোপকথন..
--একি আমার নতুন ফোন টা ..
--বেচেঁ থাকলে আবার নতুন ফোন কেনা যাবে। পাগলী মেয়ে ফোন অন করে রেখেছিলে কেন! যদি আমাদের নাম্বার ট্র্যাক করে তাহলে ধরা পড়তে বেশি সময় লাগবে না। আর শিহাব নিশ্চয়ই জেনে গেছে আমাদের পালানোর ব্যপারে। শয়তানটা নিশ্চয়ই জেনে গেছে। আল্লাহ আল্লাহ করো যেনো আমাদের ট্র্যাক না করে।
খালিদের কথা শেষ হতেই লিজা বলে উঠলো..
--তুমি জানো, শিহাব আমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। দুইবার প্রোপোজ ও করেছে আমাকে। ও আসলে কি চায়?
--ও তোমাকে ভালোবাসেনা লিজা।ও এসব করছে আমার সাথে শত্রুতা করে। কলেজ লাইফ থেকেই আমাদের শত্রুতা চলছে। আমার সব কিছুতে ও ঠ্যাং ঢুকিয়ে দিতে চায়।
--এমনও তো হতে পারে ও আমাদের ফলো করছে।
--আরে না। এত ভয় পাচ্ছো কেন? ওসব করবে না ও। আমরা যে পালিয়ে যাবো এটাতো আমরা নিজেরাই জানতাম না। শিহাব কি করে জানবে!
.
তাদের কথাগুলো শুনছিলাম কালভার্ট এর প্রান্ত থেকে একটা গাছের আড়াল থেকে। আচমকা খেয়াল করলাম লিজা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। টের পেয়েই নিজেকে লুকিয়ে ফেললাম। সর্বনাশ হয়ে যাবে তাঁরা আমাকে দেখে ফেললে। দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে খালের পাশের ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম আমি।
.
কিন্তু তাদের কথোপকথন শুনতে পেলাম। খালিদ লিজার অবাক হওয়া দেখে জিজ্ঞেস করলো ..
--কি হলো লিজা!
লিজা কাঁপা কাঁপা গলায় জবাব দিলো..
--আমার মনে হলো গাছের আড়ালে কেউ লুকিয়ে আছে। সে আমাদের ফলো করছিলো। আমাদের দেখেই লুকিয়ে পড়েছে।
খালিদ লিজার কথা শুনে অট্টহাসি দিয়ে উঠলাে। হো হো করে হেসে নিয়ে বললাে ..
--ওরে পাগলী মেয়ে তুমি এত ভীতু কেন? শিহাব বা অন্যকেউ কেন এখানে আসবে এত তাড়াতাড়ি! তুমি অতিরিক্ত ভয়ের কারণে হ্যালুসিনেশনের শিকার হয়েছো। তাছাড়া এখন অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। তাই হয়তো ভুল দেখেছো পাগলী মেয়ে কোথাকার।
কিন্ত খালিদের কথা মানতে পারলো না লিজা। কেন মানলো না সেটা বুঝে গেলাম আমি। তখন লিজা আসলে ভুল কিছু দেখেনি। আমি যদি তখন লিজার কথাগুলো গুরুত্ব দিতাম তাহলে তখনই আমার ভবিষ্যৎ সত্ত্বা গুলোকে পেয়ে যেতাম। লিজা আমাকে স্পষ্ট দেখেছে তাই জোর গলায় বললো ..
--না, আমি স্পষ্ট দেখেছি কেউ একজন লুকিয়েছে গাছের আড়ালে।
--আচ্ছা তাহলে চলো সত্য উদ্ঘাটন করা যাক। গিয়েই দেখা যাক গাছের আড়ালে কে!
.
তারা গাছের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি গাছের আড়াল থেকে নিজেকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে এসেছি। তাই নিশ্চিন্ত। কারণ আমি আগে থেকেই জানি কি ঘটবে এখন। তারা আমাকে দেখতে পাবেনা এটুকু আমি নিশ্চিত।
গাছের কাছাকাছি এসে দুজনেই গাছের পেছনে উপড়ে নিচে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাে না। লিজাকে উদ্দেশ্যে করে খালিদ বললাে ..
--পাগলী মেয়ে, বলেছিলাম না খামোখা ভয় পাচ্ছিলে। তুমি আসলে সেই শুরু থেকেই ভয় পাচ্ছো। অতিরিক্ত ভয়ের কারণে এমন উল্টাপাল্টা দেখছো।এত ভয় নিয়ে কি প্রেম করা যায়!
লিজা মাথা নিচু করে কোমল কন্ঠে বললো..
--সত্যিই তো! কেউ ফলো করছে না তো!
--না রে বাবা। এত ভয় পেওনা। আমি আছিতো।
--কেমন পঁচা একটা গন্ধ আসছে।
--মনে হচ্ছে কোনো সাপ মরে পঁচে গেছে ঝোপঝাড়ের ভিতরে। চলো আমরা কালভার্ট টার ওখানে যাই। ওখানে কোনো গন্ধ নেই।
.
ওরা আবারও কালভার্ট এর মাঝখানে চলে যেতে লাগলো ঠিক সেই মুহুর্তে আমার পায়ের নিচে কিছু একটার অস্তিত্ব অনুভব করলাম। চোখ দুটো সেদিকে ঘুরাতেই দেখলাম আমার পা একটা মাথার খুলির উপরে। একটু পরেই আমার আরো অবাক হওয়ার পালা। অনেক গুলো লাশের স্তুপ করে রাখা এখানে। পোকামাকড় ঘুরাঘুরি করছে পঁচাগলা লাশগুলোর উপর। নাকে তীব্র পঁচা একটা গন্ধ চলে এলো। মুখে রুমালটা আরো শক্ত করে বেঁধে নিলাম যাতে নাকে গন্ধটা না আসে। একটা লাশ দেখে মনে হলো সেটা এখনো পঁচেনি। লাশটার দিকে এগিয়ে যেতেই দেখলাম লাশটা আর কারো নয়। এটা লিজার লাশ। একটু পরে আরো অবাক হলাম যখন বুঝতে পারলাম প্রতিটা লাশই লিজার লাশ। মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো আমার। প্রতিবার টাইম ট্রাভেল করার পর প্রতিটা জিনিস কপি হতে থাকে। কিন্ত সেটা শুধু সেই সময়ে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে তার অস্তিত্ব কিভাবে থাকতে পারে। তাহলে ঠিক কতবার আমি টাইম ট্রাভেল করে লিজাকে খুন করেছি। এতগুলো লাশ কিভাবে জমা হলো এখানে!
.
প্রত্যেকবার খুন করার পর লিজার লাশটা যখন কালভার্ট থেকে নিচে ফেলে দেই তখন সেটা পানিতে না পড়ে পাড়ের গা ঘেঁষে লাশের স্তুপে জমা হয়েছে। আর গন্ধটা এখান থেকেই আসছে। আজ রাতে আবারও খুন হতে যাচ্ছে লিজা। আরো একটা লাশ জমা হবে এই স্তুপে। ওহ মাই গড! দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি ঠিক কতবার টাইম ট্রাভেল করছি সেটারই হিসাব নেই এখন। সবকিছুর মূলে এই টাইম মেশিন। আমার এখন টাইম ট্রাভেল থামিয়ে দিতে হবে।
.
লাশের স্তুপ থেকে উঠে গিয়ে কালভার্ট এর উপরে তাকাতেই দেখলাম খালিদ আর লিজা পাশাপাশি দাড়িয়ে গল্প করছে। হাত ঘড়িতে তাকাতেই দেখলাম ঘন্টার কাটা ৮ টা ছুই ছুই করছে। সোজা খালের পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে শুরু করলাম। খাল পাড় হয়ে বাড়িটার দিকে ছুটতে লাগলাম। যেভাবেই হোক টাইম মেশিনটা ধ্বংস করে দিতে হবে। সেটা করতে পারলেই টাইম ট্রাভেল থেমে যাবে। বেচেঁ যাবে খালিদ আর লিজা। নিজের কথা বাদ দিলাম আমি। আমার অতীত সত্ত্বা লিজার সাথে বেচেঁ থাকুক এটাই এখন আমার চাওয়া।
.
বাড়িটার দিকে ঢুকতে যাবো ঠিক সেই মুহুর্তে ঘড়িটার দিকে তাকাতেই দেখলাম ৮ টা বেজে গেছে। ওহ নো, এখন সেকেন্ড খালিদ এবং থার্ড খালিদ লিফট থেকে বেরিয়ে আসবে একইসাথে। তরিঘরি করে চলে গেলাম বাড়ির জানালার দিকে। ভেতরে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম কি ঘটতে চলেছে। থার্ড খালিদ লিফট থেকে বের হয়েই বুঝতে পারলো সেকেন্ড খালিদ ও এখনই বের হয়ে আসবে লিফট থেকে। তাই সে প্রফেসর ভিক্টরের বেডরুমের দিকে যেতে লাগলো। সেকেন্ড খালিদ বের হয়েই বুঝে গেলো থার্ড খালিদের অবস্থান। সেও বেডরুমের দিকে যেতে যেতে বলে উঠলো..
--চেষ্টা ভালো ছিলো প্রফেসর। কিন্ত আমি বুঝে গেছি। আমার জীবন মরন সমস্যার মধ্যে এমন বোকা বানানোর মজা না করলেও পারতেন। আপনার বিড়াল তাড়ানো শেষ হয়নি এখনো! লুকিয়ে না থেকে বেরিয়ে আসুন।
.
বুঝে গেলাম আমি। প্রফেসর ঘুম থেকে উঠে এখন শাওয়ার নিচ্ছে। বেডরুমের দরজাটা নিশ্চয়ই খুলে রেখেছে ভুল করে।
.
কথাটা শেষ না হতেই দরজায় দুপদাপ আওয়াজ পেলাম। থার্ড খালিদ দুপদাপ আওয়াজ তুলে মেইন দরজা থেকে বের হয়ে গেলো। সেকেন্ড খালিদও তখনই একটা ছুরি হাতে নিয়ে তাঁর পিছু নিতে লাগলো। আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম একি ঘটছে আবার! আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে যা পূর্বে ঘটেছিলো। আমি পালানোর প্রস্তুতি নেয়ার আগেই সেকেন্ড খালিদ আমার পিঠে ছুরিটা ঢুকিয়ে দিলো সজোরে।
ব্যথায় কুকিয়ে উঠলাম আমি। আরো একবার একই জায়গায় ছুরির আঘাতটা অসহ্য যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে। আমি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি। টাইম ট্রাভেল করে আসা সেকেন্ড খালিদ এবার হুঙ্কার করে বলে উঠলো ..
--কি বলেছিলে তখন শিহাব? এখন কথাটা ফেরত নেবার সময় হয়েছে। এখন সময়টা আমার জন্যই গুড। ব্যাড ফর ইউ। বল লিজা কোথায়?
এটাই ছিলো আমার প্রথম ট্রাভেল। এই সময়ে আমি জানতাম না আমি টাইম ট্রাভেল করে অতীতে এসেছি। নিশ্চয়ই এখন সেও জানেনা সে অতীতে আছে। আমি কি করে তাকে বুঝাবো এখানে কোনো শিহাব নেই। এখানে তারই অতীত আর ভবিষ্যৎ সত্ত্বাগুলো ঘুরাফিরা করে তাকে হয়রান করছে। আমার ভেজা কাদামাখা শরীর দেখে চেনারও উপায় নেই আমিই সে। বার বার নিজেকেই শিহাব ভেবে ভুল করে এসেছি আমি। এখানে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। কথা বলার শক্তি না পেয়েও কোনোমতে ভাঙ্গা গলায় উত্তর দিলাম ..
--আমি শিহাব নই।
কথাটা শুনে চমকে উঠে ছেড়ে ছেড়ে দিলো আমাকে।
--শিহাব নও। তাহলে নিশ্চয়ই শিহাবের চামচা!
--যা ইচ্ছা ভাবতে পারো। কিন্ত একথা সত্যি। এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধ্যা।
--ইয়েস আই নো দ্যাট। কিন্ত আমার জন্য নয় শুধু তোমার জন্য। আর সন্ধ্যাটাকে খারাপ করেছো তুমি নিজেই। বল কুত্তার বাচ্চা শিহাব কোথায়? আর কতজনের দল নিয়ে আমাকে মারতে এসেছিস? সব কটাকে মেরে ফেলবো আজ।
কথাটা শেষ না হতেই পাশের ঝোপ থেকে এক চিলতে টর্চের আলো এলো। সাথে সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে সেদিকে তাকাতেই ঝোপের আড়াল থেকে পায়ের আওয়াজ আসতে লাগলো। আবারও কেউ দৌড়ে পালাচ্ছে। বুঝে গেলাম এটা থার্ড খালিদ। আমিই টর্চের আলো ফেলেছিলাম তখন। আমার পিঠ থেকে ছুরিটা বের করে ফার্স্ট খালিদ হুঙ্কার করে বলে উঠলো..
--নিশ্চয়ই শিহাব। আমি আর তাকে ছাড়ছি না। পালিয়ে লাভ নেই। সবাইকে মারবো আজ।
.
সেকেন্ড খালিদ কালভার্টের দিকে ছুটলো আর থার্ড খালিদ ছুটলো খালের ভেলাটার দিকে। বুঝতে পারলাম কি ঘটতে চলেছে। আসলেই সন্ধ্যাটাকে আমি নিজেই খারাপ করে ফেলেছি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধ্যা। ভেরি ভেরি ব্যাড। মাথাটা মাটির সাথে লেপ্টে রেখে দিলাম। শরীরে একদম শক্তি নেই। ঠিক সেই মুহুর্তে কানে এলো বুলেটের শব্দ। নিশ্চয়ই থার্ড খালিদ সেকেন্ড খালিদকে আক্রমণ করতে গিয়ে লিজাকে খুন করে দিয়েছে।
.
এসবই তো ঘটবে এখন। আর চতুর্থ খালিদ হিসেবে আমার এখন কিছুই করার নেই। অর্ধমৃত শরীর নিয়ে শুধু ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি অনুভব করতে লাগলাম মাটিতে শুয়ে। একটু পরেই সেকেন্ড খালিদ প্রমাণ লোপাট করে বাড়িটার দিকে ছুটে এলো। সে বাড়িটাতে ঢুকতেই দেখলাম থার্ড খালিদও তাঁর পেছনে তাকে অনুসরণ করছে। সে নিশ্চয়ই ফার্স্ট খালিদের মৃত দেহটা ভেলার পাশে দেখেছে।
.
সেই মুহুর্তে প্রফেসর ভিক্টর এর মুখোমুখি দেখা হলো সেকেন্ড খালিদের। সেকেন্ড খালিদের সাথে ভিক্টরের কথা কাটাকাটির পর ঘুষির শব্দ হলো। আমি শুধু তাদের কথোপকথন শুনতে পেলাম। এখন এই সুযোগে থার্ড খালিদ টাইম মেশিনে ঢুকে যাবে। বাড়ির দরজাটা লাগিয়ে দিলো সে। চুপিচুপি টাইম মেশিনে ঢুকে সে চলে যাবে বিকেল ৫ টায়। আর সেকেন্ড খালিদ থার্ড খালিদের অবস্থানে অর্থাৎ রাত ৮ টায় চলে যাবে। সেখানে চলে আসবে সেকেন্ড খালিদ। আবারও একই ঘটনা ঘটবে তাদের সাথে। কিন্ত এখন সময় রাত ৯ টার দিকে গড়াচ্ছে।
.
ঘড়িটার দিকে এক নজর তাকিয়ে চোখটা বন্ধ হয়ে এলো আমার। চোখ খুললাম কলিং বেলের শব্দে। মাথাটা তুলে তাকাতেই দেখলাম ফার্স্ট খালিদ অর্থাৎ যে সেকেন্ড খালিদের শিকার ছিলো সে খালপাড় থেকে উঠে এসেছে। রক্তাক্ত শরীরটা কলিং বেলে চাপ দিয়েই ধুপ করে নিচে পড়ে গেলো। দৃশ্য টা দেখে জানালার দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে উঠে দাড়িয়ে দেখলাম প্রফেসর ভিক্টর তার নাকে ব্যান্ডেজ করতে ব্যস্ত। উনি কলিংবেল এর শব্দ পেয়ে দরজার দিকে ছুটলেন। গিয়েই দেখলেন রক্তাক্ত খালিদকে। খালিদকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিলেন।
.
আমার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরতে লাগলো। যেভাবেই হোক টাইম মেশিনে পৌঁছাতে হবে। টাইম মেশিনটাই সকল নষ্টের মূলে। কিন্ত ভাবতে ভাবতেই আবারও মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। শরীরে আর কোনো শক্তি পাচ্ছিনা। নিস্তেজ হয়ে যেতে লাগলো শরীরটা।
.
কতক্ষণ সংজ্ঞাহীন ছিলাম আন্দাজ করতে পারলাম না। জ্ঞান ফিরেই বুঝলাম শরীরে শক্তি পাচ্ছি হালকা। আর দেরি করলাম না। কোনোমতে উঠে দাঁড়ালাম। আমাকে যে পারতেই হবে। উঠে মেইন দরজার দিকে চলে গেলাম। নিশ্চয়ই কলিং বেল বাজালে প্রফেসর দরজা খুলে দেবে। দরজার সামনে কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়ে কলিং বেলের সুইচে একবার চাপ দিলাম। কেউ দরজা খুলে দিলোনা। আরো একবার চাপ দিলাম। না কোনো সাড়া পাচ্ছিনা ভেতর থেকে।
.
হাত ঘড়িটার দিকে তাকালাম। ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। নিশ্চয়ই ফার্স্ট খালিদ আর প্রফেসর এখন টাইম ট্রাভেল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেতে লাগলাম প্রফেসরের বেডরুমের জানালার দিকে। গিয়েই দূর থেকে তাকাতেই দেখলাম তাঁরা একে অপরের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছে আর প্রফেসর ভিক্টর টাইম ট্রাভেলের ব্যপারটা জানাচ্ছে। আমি তাদের কথপোকথন শুনতে পাচ্ছিনা কিন্ত তাদেরকে দেখতে পাচ্ছি। মুখ থেকে ভেজা রুমালটা খুলে দূরে ছুড়ে মারতেই একটা কটু গন্ধ নাকে এলো। পাত্তা দিলাম না সেটার। উদ্দেশ্য এখন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার। ফার্স্ট খালিদ প্রফেসরের দেয়া শার্টটা পড়ে নিলো।
.
বেডরুমের লাইটটা অফ করে তাঁরা দুজনে লিফটের দিকে যেতে লাগলো কথা বলতে বলতে। জানালার দিকে চোখ যেতেই দেখলাম এই ঘরের জানালায় গ্রিল নেই। এটাই আমার সুযোগ। আশেপাশে তাকাতেই একটা ভাঙ্গা ইটের টুকরো পেয়ে গেলাম। সজোরে জানালার গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেললাম। ঢুকে গেলাম ভেতরে। লুকিয়ে পড়লাম দরজার আড়ালে। এবার শুনতে পেলাম প্রফেসরের কন্ঠস্বর। ফার্স্ট খালিদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলে উঠলেন ..
--দুইদিন ধরে একটা বিড়াল খুব জ্বালিয়ে মারছে। নিশ্চয়ই বিল্লিটারই কাজ। আমি ওকে তাড়িয়ে আসছি।
.
প্রফেসর বেডরুমের দিকে আসতে লাগলেন। জানালার দিকে গিয়ে দেখলেন সেটা ভাঙ্গা পড়ে আছে। দরজার পাশের দেয়ালের দিকে এসে লাইটের সুইচটা অন করে দিতেই আমাকে দেখে চমকে উঠলেন প্রফেসর। বললেন ..
--একি মিস্টার খালিদ আপনি আসছেন কেন রুমে? আপনি লিফটে চলে যান আমি বিড়ালটাকে তাড়িয়েই আসছি।
আমি প্রফেসরের কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালাম না বরং দরজার আড়াল থেকে লক্ষ্য করলাম প্রফেসরের পেছনে আসা ফার্স্ট খালিদ কথাটা শুনে লিফটের দিকে চলে যাচ্ছে আবার । আমি তাঁর লিফটে প্রবেশ করার অপেক্ষায় দাড়িয়ে রইলাম আর প্রফেসর আমার উদ্দেশ্যে আবারও বলে উঠলেন ..
--আপনি লিফটের দিকে যান আমি আসছি এক্ষুনি।
.
বুঝে গেলাম ব্যপারটা। তাহলে টাইম ট্রাভেল শুরুর আগে গ্লাস ভাঙ্গা বিল্লিটা আমারই ভবিষ্যৎ সত্ত্বা ছিলো যেটা এখন আমি বর্তমানে। আর প্রফেসর তখন কথাগুলো আমাকে বলেনি বলেছিলো আমার ভবিষ্যৎ সত্ত্বাকে। ফার্স্ট খালিদ টাইম ট্রাভেল করার জন্য লিফটে প্রবেশ করলো। এখন সে আবারও রাত ৮ টায় চলে যাবে। লিফটের দরজা বন্ধ হতেই রাগে গজগজ করতে লাগলাম আমি।
প্রফেসর আমার ভেজা শরীরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো..
--আপনার শরীর ভিজে গেলো কি করে। সেখানে কাদা লাগলো কি করে! আচ্ছা যাইহোক চলুন লিফটের দিকে।
প্রফেসরের মুখে কথাগুলো শুনেই সজোরে একটা ঘুষি মেরে প্রফেসরকে নিচে ফেলে দিয়ে বলে উঠলাম ..
--এখন এটাকে কিভাবে থামাতে হয় বল আমাকে। সময়ের বেড়াজালে তুই আমাকে আবদ্ধ করেছিস। আমি এখন অনেক ক্লান্ত। সময়ের সাথে পাল্লা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। বলে দে আমাকে কিভাবে এটাকে থামাতে হয়। নাহলে তোর টাইম মেশিন আমি ধ্বংস করে দেবো।
প্রফেসর অবাক চোখে আমার দিকে তাকাতে তাকাতে উঠে বসতে লাগলেন। তারপর বলে উঠলেন
.
--হেয়, মিস্টার খালিদ আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন! মদ খেলাম আমি আর মাতলামি দেখি আপনি করছেন। আপনি তো এখনো টাইম ট্রাভেল শুরুই করলেন না। ক্লান্ত কেন হতে যাবেন!
--আমি টাইম ট্রাভেল করতে করতেই এখানে পৌঁছে গেছি।
--বুঝেছি আপনি আবারও মজা করছেন। হাহাহা, আমাকে এপ্রিল ফুল বানাতে চাইছেন।
--আমার চোখের দিকে তাকান। দেখে কি মনে হচ্ছে আমি মজা করছি!
.
প্রফেসর আমার কথায় হাসতে লাগলো। যেনো আমি মজা করছি তাঁর সাথে। অবশ্য বিশ্বাস না করারই কথা। কেননা উনি এ ব্যপারে অবগত নয়। উনি এখনো জানে খালিদ এখনো টাইম ট্রাভেল শুরু করেনি। কিন্ত তিনি এটা জানেনা সবকিছু একটা লুপের ভেতর দিয়ে ঘটে চলেছে। আর এই লুপ তাঁর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর এই টাইম মেশিনের জন্যই এত বাজে ঘটনা গুলো ঘটে যাচ্ছে আমার সাথে। আর আমার লাইফটা হেল বানিয়ে দিয়ে উনি এখন হাসছে মজা করছে ঠাট্টা করছে। রাগে শিউরে উঠলাম আমি। জানালার ভাঙ্গা কাচেঁর টুকরো নিয়ে সজোরে ঢুকিয়ে দিলাম প্রফেসরের বুকে। আমার জীবনটা কোনো মজা করার বস্তু নয়। প্রফেসর কিছু বুঝে উঠার আগেই কাচেঁর টুকরো বিধে গেলো তাঁর শরীরে। নিচে দুপ করে পড়ে গেলো প্রফেসর। মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। একদম হার্ট বরাবর আঘাত করেছি। জানালা দিয়ে লাশটা বাইরে নিয়ে গেলাম। লাশটা একটু দূরে ফেলে দিতেই দেখলাম একটু দূরে লাশের স্তুপ। তখন সেখান থেকেই আসছিলো কটু গন্ধটা। বুঝে গেলাম এখানে আমি প্রথমবার নই। এখানে আমি আগেও এসেছি আর প্রফেসরকে খুন করেছি বার বার। সবগুলো প্রফেসরের লাশ। লাশের স্তুপ থেকে চোখ সরিয়ে চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেলাম।
.
সময়ের এই লুপ থেকে আমাকে বের হতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপায় খুজেঁ বের করতে হবে। নিশ্চয়ই এর কোনো সমাধান রয়েছে। আবারও জানালা দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম। এমন কিছু নিশ্চয়ই আছে যা আমাকে জানাবে কিভাবে এই লুপ থেকে বের হতে হয়।

0 Response to "দ্যা ব্যাড ইভিনিং | খালিদ হাসান | পর্ব - ৪"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন