গল্পের/উপন্যাসের নামঃ অপুর চিন্তা | |
লেখকঃ | এম. এন. আর. দুর্জয় |
বইয়ের নামঃ | নেই |
ধরণঃ | মনষ্তাত্বিক |
প্রথম প্রকাশঃ | মার্চ ২৮,২০১৯; ফেসবুক |
সংগ্রহকারীঃ | এম. এন. আর. দুর্জয় |
ওয়েবসাইটে প্রকাশকঃ | এম. এন. আর. দুর্জয় |
মূলসূত্রঃ | Facebook.Com |
- অনেক তো ভাবলে । কিছু কী পেলে ? - না ।
- তাহলে এতো ভাবো কেনো ?
- ভালো লাগে তাই ।
- শুধু ভালো লাগা নিয়ে থাকলে কী হবে ? তোমার কী কোনো ভবিষ্যৎ আছে ? নাকি আবার নেই ?
-বেঁচে থাকলে অবশ্যই আছে ।
- তাহলে পড়াশুনা করছো না কেনো ?
- একটুও ভালো লাগে না ।
- পড়াশুনা কেউ পছন্দ করে না । কারো ভালো লাগে না । কেউ পছন্দ করে না । তাই বলে কেউ কী পড়া বাদ দিয়েছে ? অনেক তো বিজ্ঞানীদের জীবনি পড়েছো । দেখেছো , তারা কত কষ্ট করে পড়েছেন ।
- কষ্টে সব বিষয়ই ভালো লাগে ।
- (রেগে) তাহলে আরামে পড়া বাদ দাও । চুলার উপর বসে পড়ো । পড়া হবে ।
- (বিনয়ের সাথে) না আমি এটা বলতে চাই নি !
- তাহলে কী বলতে চাচ্ছো ? বলতে চাচ্ছ যে পড়াশুনা বাদ দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ বাদ দিবে ? মৃত্যু যদি না হয় তবে একদিন তুমি বড় হবে । তখন তুমি কী চাও রাস্তায় রাস্তায় ময়লা সাফ করবে ?
- না ।
- তবে ভেবে দেখো । তুমি যে এত ভাবো তাতে কোনো লাভ নেই । এর চেয়ে বড়ং পড়াশুনা করতে পারো ।
- কিন্তু পড়াশুনা যে আমার ভালোলাগে না ?
- ভালো লাগবে না কেনো ? ভালো লাগাতে হবে । আরামে ভালো লাগে না তো কষ্টে পড়ো ।
- তাহলে চুলার উপড় পড়বো ?
- না না ! সেটা নয় ।
- তাহলে ?
- নিজেকে হালকা কষ্ট দিয়ে পড়তে পারো । তবে , এমন কষ্ট দিতে পারো না যা তুমি সহ্য করতে পারবে না ।
- যেমন ?
- গরমের দিন ফ্যন বন্ধ করে পড়বে ।
- ধ্যাত । গরমের দিন আবার ফ্যান বন্ধ করে থাকতে পারবো নাকি ?
- হ্যাঁ । এটাই কৌশল । বাংলায় একটা প্রবাদ আছে , "ঠেলায় বেড়াল গাছে উঠে" । এটার বাস্তবিক প্রয়োগ হবে এখানে । গরমের কারণে ২ ঘন্টার পড়া তুমি ২ মিনিটে শেষ করতে পারবে ।
- ও ! ঠিক তো । আগে ভাবি নি !
- কীভাবে ভাববে ? তুমি তো অন্য কথা ভাবো যা তোমার এখন না ভাবলেও চলবে । নিউটনের ভুল এখন না খুজে ভালোভাবে সুত্রগুলো ব্যখা করা শেখো । তোমার বের করা ভুল কেউ দেখবে না ।
- (লজ্জিত)
- শোনো , তাই বলছি অযথা চিন্তা বাদ দিয়ে বড়ং কাজের কথা চিন্তা করো ।
- ঠিক আছে ।
.
এতক্ষণ কথাগুলো অপু আর তার বিবেক বলছিলো । যখন কেউ কোনো ভুল করে বাহ্যিকভাবে তা হয়ত তার চোখে পড়ে না কিন্তু সেটা ঠিক হয়নি কিংবা হওয়া উচিৎ ছিলো না এরকম হয় তখন যে কারোই অন্তরের বিবেক কখোনো কখোনো খুলে যায় । যেনো কথা বলতে শুরু করে নিজই নিজের সাথে , সিনেমায় যেমন যমজ লোক বের হয় ।
.
চিন্তা করছে আর অপু রাস্তায় হাটছে । সে অবশেষে ঠিক করলো পড়াশুনা করবে । হঠাৎ , সে মাথা তুলে দেখে প্রচন্ড গতিতে তার দিকে ধেয়ে আসছে একটা ট্রাক । পা অন্যদিকে ঘোরার অনুমতি চাচ্ছে কিন্তু . . .
.
[মূল রচনা : ০৯ ই মে ২০১৭]
- তাহলে এতো ভাবো কেনো ?
- ভালো লাগে তাই ।
- শুধু ভালো লাগা নিয়ে থাকলে কী হবে ? তোমার কী কোনো ভবিষ্যৎ আছে ? নাকি আবার নেই ?
-বেঁচে থাকলে অবশ্যই আছে ।
- তাহলে পড়াশুনা করছো না কেনো ?
- একটুও ভালো লাগে না ।
- পড়াশুনা কেউ পছন্দ করে না । কারো ভালো লাগে না । কেউ পছন্দ করে না । তাই বলে কেউ কী পড়া বাদ দিয়েছে ? অনেক তো বিজ্ঞানীদের জীবনি পড়েছো । দেখেছো , তারা কত কষ্ট করে পড়েছেন ।
- কষ্টে সব বিষয়ই ভালো লাগে ।
- (রেগে) তাহলে আরামে পড়া বাদ দাও । চুলার উপর বসে পড়ো । পড়া হবে ।
- (বিনয়ের সাথে) না আমি এটা বলতে চাই নি !
- তাহলে কী বলতে চাচ্ছো ? বলতে চাচ্ছ যে পড়াশুনা বাদ দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ বাদ দিবে ? মৃত্যু যদি না হয় তবে একদিন তুমি বড় হবে । তখন তুমি কী চাও রাস্তায় রাস্তায় ময়লা সাফ করবে ?
- না ।
- তবে ভেবে দেখো । তুমি যে এত ভাবো তাতে কোনো লাভ নেই । এর চেয়ে বড়ং পড়াশুনা করতে পারো ।
- কিন্তু পড়াশুনা যে আমার ভালোলাগে না ?
- ভালো লাগবে না কেনো ? ভালো লাগাতে হবে । আরামে ভালো লাগে না তো কষ্টে পড়ো ।
- তাহলে চুলার উপড় পড়বো ?
- না না ! সেটা নয় ।
- তাহলে ?
- নিজেকে হালকা কষ্ট দিয়ে পড়তে পারো । তবে , এমন কষ্ট দিতে পারো না যা তুমি সহ্য করতে পারবে না ।
- যেমন ?
- গরমের দিন ফ্যন বন্ধ করে পড়বে ।
- ধ্যাত । গরমের দিন আবার ফ্যান বন্ধ করে থাকতে পারবো নাকি ?
- হ্যাঁ । এটাই কৌশল । বাংলায় একটা প্রবাদ আছে , "ঠেলায় বেড়াল গাছে উঠে" । এটার বাস্তবিক প্রয়োগ হবে এখানে । গরমের কারণে ২ ঘন্টার পড়া তুমি ২ মিনিটে শেষ করতে পারবে ।
- ও ! ঠিক তো । আগে ভাবি নি !
- কীভাবে ভাববে ? তুমি তো অন্য কথা ভাবো যা তোমার এখন না ভাবলেও চলবে । নিউটনের ভুল এখন না খুজে ভালোভাবে সুত্রগুলো ব্যখা করা শেখো । তোমার বের করা ভুল কেউ দেখবে না ।
- (লজ্জিত)
- শোনো , তাই বলছি অযথা চিন্তা বাদ দিয়ে বড়ং কাজের কথা চিন্তা করো ।
- ঠিক আছে ।
.
এতক্ষণ কথাগুলো অপু আর তার বিবেক বলছিলো । যখন কেউ কোনো ভুল করে বাহ্যিকভাবে তা হয়ত তার চোখে পড়ে না কিন্তু সেটা ঠিক হয়নি কিংবা হওয়া উচিৎ ছিলো না এরকম হয় তখন যে কারোই অন্তরের বিবেক কখোনো কখোনো খুলে যায় । যেনো কথা বলতে শুরু করে নিজই নিজের সাথে , সিনেমায় যেমন যমজ লোক বের হয় ।
.
চিন্তা করছে আর অপু রাস্তায় হাটছে । সে অবশেষে ঠিক করলো পড়াশুনা করবে । হঠাৎ , সে মাথা তুলে দেখে প্রচন্ড গতিতে তার দিকে ধেয়ে আসছে একটা ট্রাক । পা অন্যদিকে ঘোরার অনুমতি চাচ্ছে কিন্তু . . .
.
[মূল রচনা : ০৯ ই মে ২০১৭]
Wow
উত্তরমুছুনThanks
মুছুনGreat
উত্তরমুছুনThanks
মুছুনNc
উত্তরমুছুন