বইটি আজ থেকে সুদূর ভবিষ্যতের আধুনিক পৃথিবীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ প্রফেসর ও প্রথম শ্রেণির বিজ্ঞানীর বর্ণনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ও বিভিন্ন কপোট্রনের(রবোটের মস্তিষ্ক) রবোটদের নিয়ে। এই প্রফেসর উনার একাকীত্ব দূর করা এবং দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করার জন্য একটি রবোটের সাহায্য নেবার কথা ভাবেন। কিন্তু রবোটরা সাধারণত অনুভূতিহীন। তারা আমাদের মতো সুখ-দুঃখ বুঝে না। কিন্তু তিনি এরকম রবোট চান না। তিনি চিন্তা করলেন একটি অনুভূতিসম্পন্ন রবোট তৈরির। এবং তিনিই প্রথম প্রমিথিউস নামক একটি রবোটকে অনুভূতি দেন। এটি এমন কিছু ঘটনার জন্ম দেয়, যা আসলে অভাবনীয়। যেমন, রবোট প্রমিথিউসের সুন্দর কিছু ভালো লাগে, ভালোবাসে। প্রফেসরের বউ সুন্দরী, ওকে দেখে রবোটটির ভালো লেগে যায়। সে ওকে প্রেমপত্র লিখতে থাকে। রবোটটির প্রেম একসময় চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজের ধাতব শরীরের প্রতি অনেক হতাশা নিয়ে সে আত্মহত্যা করে! এটি বইটির "কপোট্রনিক ভালবাসা" অংশের। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। সরকার প্রফেসরের অনুভূতিসম্পন্ন রবোট তৈরির আইডিয়া কিনে নিয়ে অনুভূতিসম্পন্ন রবোট তৈরি করতে থাকে। শুরু হয়, নতুন ঘটনাপ্রবাহের। যা পর্যায়ক্রমে,
♦কপোট্রনিক ভালবাসা
♦কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (এক)
♦কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (দুই)
♦কপোট্রনিক অস্ত্রোপচার
♦কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ
♦কপোট্রনিক প্রেরণা ও
♦পরিশিষ্ট -অংশে বর্ণিত হয়েছে। পরিশিষ্ট অংশটা পড়ার পর আপনি থমকে যাবেন। পৃথিবী কি একসময় রবোটরা শাসন করতে পারে —বইটি পড়লে এই প্রশ্নটি আপনাকে ভীষণভাবে ভাবাবে।
কপোট্রনিক ভালবাসা | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি রিসার্চ সেন্টারের করিডোরে আমাকে গুলি করেছিল। স্পষ্টতই সে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু যে-কারণেই হোক, আমি ম...
কপোট্রনিক বিভ্ৰান্তি (এক) | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ঘরঘর করে ধাতব দরজাটি নেমে এসে আমাকে ল্যাবরেটরির ভৌতিক কক্ষে আটকে ফেলল। বের হবার অনেক কয়টি দরজা আছে, সেগুলি খোলা না থাকলেও প্রবেশপথে সুইচ...
কপোট্রনিক বিভ্ৰান্তি (দুই) | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ল্যাবরেটরির করিডোর ধরে কে যেন হেঁটে আসছিল। পায়ের শব্দ শুনে বুঝরে পারলাম ৫টি একটি রবোট-মানুষের পায়ের শব্দ এত ভারী আর এরকম ধাতব হয় না। অবা...
কপোট্রনিক ভায়োলেন্স | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রমিথিউস নামে আমি একটা রবোট তৈরি করেছিলাম। সেটি ছিল পৃথিবীর প্রথম মানবিক আবেগসম্পন্ন রবোট, কিন্তু সে নিয়ে আমি কোনো গর্ব করার সুযোগ পাই ন...
কপোট্রনিক অস্ত্ৰোপচার | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ডাক্তার এসে বললেন, বুলাকে বাঁচানো যাবে না। খবরটি শুনে আমার ভেঙে পড়ার কথা, কিন্তু আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম, আমার তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হল না...
কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বিকেলে আমার হঠাৎ করে মনে হল আজ আমার কোথায় জানি যাবার কথা। ভোরে বারবার করে নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন আর মনে করতে পারছি না। আ...
কপোট্রনিক প্রেরণা | মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ডাক্তার বলেছিলেন রাত দশটার ভেতর যেন শুয়ে পড়ি। প্রতিদিন আমার পক্ষে এত সকাল সকাল শুয়ে পড়া সম্ভব নয়। টেকীওনের উপর দুটো প্ৰবন্ধ শেষ করতে এ স...
0 Response to "কপোট্রনিক সুখদুঃখ | মুহম্মদ জাফর ইকবাল"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন