Ads Golpo.Best Kobita.Best

search

অপারেশন তেলআবিব-১ | আবুল আসাদ


লেখকঃসত্যজিৎ রায়
ধরণঃস্পাই থ্রিলার
প্রথম প্রকাশঃ১৯৯৬
তথ্যসূত্রঃFaceBook.Com

#অপারেশন তেলআবিব-১ ও অপারেশন তেলআবিব-২
জনাব আবুল আসাদ কর্তৃক লিখিত সাইমুম সিরিজের প্রথম বই অপারেশন তেলআবিব-১। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে।
ফিলিস্তিন এর পটভুমিতে লেখা এই বই শুরু হয়েছে অসাধারন একটা ডাইরী লিখা থেকে। সিংকিয়াং এর ধুসর মরুভূমি।নিজেদের ভিটে-মাটি থেকে বিতাড়িত প্রায় ৫০০০ মুসলমানের ঠিকানাহীন, যাযাবরের মত একটা আশ্রয়ের সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো আর তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে যাওয়ার এক মর্মস্পর্শী বর্ননা ফুটে উঠেছে বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে। কিন্তু এত দূর এসেও শেষ রক্ষা হলনা। এ কালের ফেরাউন বাহিনী এখানেও এসে গেছে। আবার অজানার পথে যাত্রা করা। এবার আর তারা শুধু ৫০০০ নয়, ঐ মরুভূমি ও তার আশেপাশের আরো ৪৫০০০ হাজার, হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, ৪৫০০০ মুসলিম তাদের যাথে যোগ দিয়েছে। কোথায় যাবে জানা নেই। শুধু জানা আছে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মুসলমানদের এ দুঃস্বপ্নের বুঝি শেষ নেই। কোথায় যাবে তার? সিংকিয়াং এ থাকা গেল না। এদিকে তিব্বতও তাদেরকে গ্রহণ করবে না। এরি মধ্যে একদিন গভীর রাতে তাদের কাফেলার উপর শোনা গেল সামরিক বিমানের রক্ত হিম করা আওয়াজ। আর হঠাত বুম...বুম...
ছুটে বাইরে বেরিয়ে এল আহমদ মুসা। যা দেখল তা কোন ভাই সহ্য করতে পারবে না। তার ৪ বছরের ভাই ইউসুফ শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়ে কয়লার মত হয়ে গেছে। আর তার পিতার অবস্থাও করুণ। একটা লাইন হুবুহু তুলে দিচ্ছি...
“ মুসা, ইউসুফ নেই, দুঃখ করো না। পৃথিবীর সমস্ত নিপীড়িত শিশুর মাঝে তোমার ইউসুফকে খুঁজে পাবে।”
অবশিষ্ট কাফেলা নিয়ে আহমদ মুসা এগিয়ে যায়। এগিয়ে যায় হিমালয়ের পানে। এই পথ চলার মাঝে প্রতিদিন তাদের সংখ্যা কমতে থেকে।। এভাবে একদিন আহমদ মুসা হিমালয়ের কোন এক গুহায় চির নিদ্রায় শায়িত করে রাখে ফারজানা কে। তবু এ পথ চলা থেমে থাকে না। এক সময় হিমালয় পাড়ি দিয়ে তারা এসে থামে আফগান সীমান্তে।
“ হিমালয়ের বুক চিরে দীর্ঘ পথ চলার পর আমরা যখন আফগান সীমান্তে পৌঁছলাম, ৫০০০০ মানুষের মধ্যে আমরা তখন বেঁচে আছি মাত্র ৮৫০ জন...”
এতো গেল ডাইরির কথা। এবার বর্তমানে আসা যাক।
সাইমুম এর হেডকোয়ার্টারে গভীর রাতে হানা দিল WRF এর এজেন্ট। কি চায় সে? মোসাদ, ইরগুন জাই লিউমি এর সাথে আবার কারা এই WRF (World Red Force) ?
অন্যদিকে হাসান তারিকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কি মোসাদের হাতে বন্দী?সাইমুমের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদের সাথে আফ্রিকা ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের মিটিং এ মোস্তফা আমিন চুগতাই এর ছদ্মবেশে মোসাদের এজেন্ট। সংযুক্ত ফিলিস্তিন জনফ্রন্ট আর ফিলিস্তিন গনতন্ত্রী জনফ্রন্ট হাত মিলিয়েছে মোসাদের সাথে । তারা তাদের স্বার্থের বিনিময়ে মোসাদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে সাইমুমের গোপন ঘাঁটি সমুহের ঠিকানা। তারা কি এতে সফল হয়েছে?
অপারেশন তেলআবিব এর মূল চরিত্র কিন্তু আহমদ মুসা নয়। এ বইয়ের মূল চরিত্র মাহমুদ। মোসাদের একটি গাড়িকে ফলো করতে গিয়ে মাহমুদ এর সাথে পরিচয় হয় ডেভিড বেনগুরিয়ানের নাত্নী এমিলিয়ার। আর শুরু হয় দারুন একটা রোমান্টিক উপন্যাসের। কিন্তু মাহমুদ কি তার ব্যক্তিগত আবেগের জন্য জাতীয় স্বার্থকে পায়ে ঠেলে দিবে? এক দোটানার মধ্যে থাকে মাহমুদ।
ইজরাইল তাদের কোড ডিসাইফার পরিবর্তন করেছে। যার ফলে সাইমুম এখন আর তাদের কোন মেসেজ এর পাঠোধ্যার করতে পারছে না। মাহমুদের উপর এসে পড়ল ডিসাইফার জোগাড়ের দায়িত্ব। মাহমুদ কি পারবে?
এরি সুত্র ধরে এমিলিয়া বন্দী সিনবেথের দুর্বেদ্য টর্চার চেম্বারে। পানির জন্য হাহাকার করছে এমিলিয়া। আর মাহমুদ !!! সে কি তার ব্যক্তিগত আবগের জন্য এমিলিয়াকে উদ্ধার করতে যাবে? কিন্তু তার ব্যক্তিগত (?) কাজের জন্য সে কিভাবে তার সহকর্মীদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবে?

0 Response to "অপারেশন তেলআবিব-১ | আবুল আসাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন